সীমান্তে প্রাণঘাতী রাইফেলসহ ৩ যুবক আটক
- আপলোড সময় : ০৭-১২-২০২৪ ১২:৪০:২১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৭-১২-২০২৪ ১২:৪০:৫৭ পূর্বাহ্ন
প্রাণঘাতী লং রেঞ্জ শ্যুটিং রাইফেলসহ বিজিবির হাতে আটকৃত ৩জন
স্টাফ রিপোর্টার :: বিশেষ অভিযানে প্রাণঘাতী লং রেঞ্জ শ্যুটিং রাইফেলসহ ৩জনকে আটক করেছে ২৮ বিজিবি’র সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন। আটককৃতরা হল আবুল কালামের ছেলে মো. রাজু আহম্মেদ (২১), মো. আলতু মিয়ার ছেলে মো. জালাল মিয়া (২৩), নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৫)। তারা তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ২৮ বিজিবি সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান বিজিবি’র সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। এসময় ২৮ বিজিবি সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক) মেজর গাজী মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বিজিবি জানায়, সিভিল সোর্সের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এর আওতাধীন সীমান্ত হতে আনুমানিক ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাহিরপুর উপজেলার ১নং উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছড়া নামক স্থানে মেসার্স শামীম ট্রেডার্সের কয়লা ও পাথর ডিপোর অব্যবহৃত অফিসে বিজিবি কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে একটি লং রেঞ্জ শ্যুটিং রাইফেল (প্রাণঘাতী)সহ ৩ যুবককে আটক করা হয়। অভিযানে তাহিরপুর থানার টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যগণ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আটককৃত আসামিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে মো. নাজমুল হোসেন (২৭) গত বৃহঃপতিবার (৫ ডিসেম্বর) অস্ত্রটি অফিস ঘরে আটককৃত ৩ জনের নিকট রেখে যায় এবং অস্ত্রটি উক্ত এলাকার জনগণকে ভয়-ভীতি দেখানো ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার হতো। পলাতক আসামি মো. নাজমুল হোসেনকে গ্রেফতারে বিজিবি কতৃর্ক জোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বিজিবি’র সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এই অস্ত্রটি আমরা প্রথম দেখেছি। এটি দিয়ে দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে গুলি করা যায়। আটককৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাহিরপুরে সীমান্ত এলাকার নাজমুল হোসেন নামে এক সন্ত্রাসী এই অস্ত্র ভারত থেকে এনেছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে অস্ত্র আনার আসল উদ্দেশ্য জানা যাবে। সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, নামজুল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে কোনো অবৈধ পণ্য, মাদক কিংবা অস্ত্র যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য টহল জোরদার ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চোরাকারবারিদের কঠোর হস্তে দমন করতে বিজিবি বদ্ধপরিকর। এছাড়াও সীমান্তে যেকোনো ধরনের অস্থিরতা দমনে বিজিবি সতর্ক রয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ